Tuesday, March 9, 2021

চাকরিদাতা নামধারী বিভিন্ন প্রতারক প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার ফাঁদ হতে উত্তরণের উপায়!


জীবনের প্রয়োজনে হঠাৎ করে কোনো চাকরিতে যোগদানের প্রয়োজন হতে পারে। আর কনজারভেটিভ ফ্যামিলির সন্তানদের ক্ষেত্রে এটা কমন একটা ব্যাপার। যাহোক, এক্ষেত্রে একটা সমস্যা হলো চাকরির বাজার সম্পর্কে যাদের কোনোই ধারণা নাই তারা বিভিন্ন ফাঁদে পা দেয় ও পরে ভুল বুঝতে পারে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে চাকরির বাজারে শুধু তিনটি চাকরি সবসময় ওপেন আছে যেগুলো চাওয়ামাত্রই অল্প চেষ্টাতেই পাওয়া যায়; এসব হলো— গার্মেন্টসের পোশাক শ্রমিকের চাকরি, সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ এর চাকরি অর্থাৎ ভ্যানে করে কোম্পানির মালামাল নিয়ে দোকানে সেল দেওয়া এবং বিমা কোম্পানির এ্যাজেন্ট (বিমা করানোর কাজ) এর চাকরি। এর বাইরে আর কোনো চাকরি ফ্রি নেই। এর বাইরে চাকরি পেতে হলে সময় লাগবে এবং চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। মানুষের এই বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে অনেক প্রতারক প্রতিষ্ঠান তাদেরকে চাকরি দেওয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণা করে থাকে।
তাই এখন বিভিন্ন ধরণের প্রতারক প্রতিষ্ঠানের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করা হবে।

প্রথমেই বলি 'ঘরে বসে আয়'— এই বিষয়টি নিয়ে। বিক্রয় ডটকমের জব সেকশনে 'ঘরে বসে আয়' এই ধরণের অনলাইন জবের পোস্ট এপ্রুভ করা হয় না। কারণ ঘরে বসে আউটসোর্সিং করে টাকা আয় করা যায় একথা সত্য কিন্তু সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে কিছু প্রতারক প্রতিষ্ঠান প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসে থাকে।
তাদের কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করার জন্য একটি ঘটনা বলি। ২০১৪ সালে আমি এরূপ একটি ঘরে বসে আয়ের বিজ্ঞাপন দেখে সেটাতে আবেদন করলাম; প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল 'Optimum IT Solution'। এরা খুব সুক্ষভাবে প্রতারণাটি করেছিল; এতোটাই সু্ক্ষভাবে যে আমিও নির্দিধায় তাদেরকে সত্যিকারের প্রতিষ্ঠান মনে করেছিলাম।
চাকরির বিষয়াবলী ছিল যে, দৈনিক তিন ঘণ্টা করে অনলাইনে তাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করতে হবে; বেতন মাসে ৯০০০ টাকা। আর কী কাজ সেটা শেখার জন্য বই এবং টিউটোরিয়াল এর ডিস্ক দেওয়া হবে, সেই কাজের সফটওয়্যারের ডিস্কও পার্সেল করে পাঠানো হবে। আর সবার আগে যেটা কথা সেটা হলো এই কাজ পাওয়ার জন্য প্রথমে অনলাইনে একটি পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষায় টিকলে তবে কাজটি পাওয়া যাবে। যাহোক আমাকে ই-মেইলের রিপ্লাই দিয়ে বলা হলো আগামী অমুক তারিখে (২৬ তারিখ ছিল কিন্তু কোন মাস ছিল সেটা এখন আমার মনে নেই) সকাল দশটায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, পরীক্ষার দশ মিনিট আগে পরীক্ষার লিংক ই-মেইলে পাঠানো হবে। লিংক ওপেন করে পরীক্ষা দিতে হবে। আর ১০:০০ টা বাজার আগে লিংক ওপেন হবে না; শুধু ১০টা বাজলেই লিংক ওপেন হবে।
যাহোক নির্দিষ্ট দিনে সকাল ১০ টা তে অনলাইনে পরীক্ষার দিলাম। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র খুবই মানসম্মত ছিল— বাংলা, ইংরেজি, আইটি নলেজ ও গণিত থেকে প্রশ্ন ছিল। ১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিলাম এবং পরীক্ষা বেশ ভালো দিয়েছিলাম। দুপুর আড়াইটায় তারা আমাকে অভিনন্দন জানিয়ে ই-মেইল করলো এবং জানালো যে আমি তাদের প্রতিষ্ঠানে কাজের জন্য পরীক্ষায় টিকেছি। যেহেতু আমি পরীক্ষা ভালো দিয়েছিলাম তাই আমি ভেবেছিলাম সত্যিই আমি টিকেছি। কিন্তু আসল ঘটনা হলো যাতজনই পরীক্ষা দিয়েছিল সবাইকেই তারা অভিনন্দন জানিয়েছিল। এবং সেই ইমেইলেই কাজ পাওয়ার জন্য শর্ত জুড়ে দিল যে, আজ সন্ধ্যা ৬:০০ টার আগে এই ঠিকানায় এসে (মিরপুরের একটি ঠিকানা ছিল, আমার মনে হয় ওই ঠিকানায় ওদের কোনো অফিসই ছিল না) সকল সার্টিফিকেট এর ফটোকপি ও ২৫০ টাকা জমা দিয়ে কাজ শেখার বই, টিউটোরিয়াল এর ডিস্ক ও কাজের সফটওয়্যার এর ডিস্ক নিয়ে যেতে হবে। আর যারা অন্য শহরে থাকে বলে আসতে পারবে না তারা রাত ১০:০০ টার মধ্যে এই ডাচ্ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং এর নম্বরে (একটি নম্বর দিয়েছিল) ৩৭৫ টাকা সেন্ট করতে হবে এবং ইমেইলে সেই টাকা সেন্ট হওয়ায় Trx ID উল্লেখ করে ও কোন ঠিকানায় কাজ শেখার বই ও ডিস্ক চান সেই ঠিকানা ও ফোন নাম্বার উল্লেখ করে ইমেইল করতে হবে ও ই-মেইলে সকল সার্টিফিকেট এর স্ক্যান কপি সংযুক্ত করে দিতে হবে।
যাহোক আমি টাকা সেন্ড করলাম এবং সার্টিফিকেট এর স্ক্যান কপিসহ যথাযথভাবে ইমেইল করলাম। এবার আর ইমেইল এর রিপ্লাইও আসে না; যে নাম্বারে টাকা পাঠাইছি সেই নাম্বারও বন্ধ।
বুঝতে আর বাকি রইলো না যে প্রতারদেরকে টাকা দিয়েছি ও এতোসব কিছু নিস্ফল কাজ করেছি। আর এতোবড় সুক্ষ প্রতারণার সাথে অবশ্যই আইটি এক্সপার্টরা জড়িত। তা না হলে এতো সুন্দর ও মানসম্মত প্রশ্নে পরীক্ষা তারা নিতে পারতো না। যাহোক কথা হলো এরূপ ভুল কেউ করবে না।

সে বছরে এরূপ আরও একটি 'ঘরে বসে আয়' এর ভুয়া প্রতিষ্ঠানকে আমি টাকা দিয়েছিলাম; তারা এর নাম দিয়েছিল Earn Bank। তারা তাদের মোটিভেট করার পদ্ধতি হিসেবে একটি সুন্দর ওয়েবসাইট বানিয়েছিল। তবে তারা পরীক্ষা নেয় নি। তারা ফোন করে ইন্টারভিউ নিয়েছিল। তাদের ইন্টারভিউয়ে অংশ নেওয়ার জন্য ১০০ টাকা বিকাশ করতে হয়েছিল ও তাদের ওয়েবসাইটে অনলাইনে একটি ফরম পূরণ করতে হয়েছিল ও যে নাম্বার থেকে টাকা পাঠাইছি সেই নাম্বার দিতে হয়েছিল। আর যেহেতু মাত্র ১০০ টাকা তাই যা হয় হবে ভেবে টাকা দিয়েছিলাম। দুইদিন পরে তারা ফোন করে ৬ মিনিট কথা বলে ইন্টারভিউ নিলো ও বললো পরে ফলাফল জানানো হবে। পরে আর জানায়নি; তাদেরকে ফোন করে জানতে পারলাম আমি তাদের কাজের জন্য নির্বাচিত হইনি এবং তারা আমার চেয়ে ভালো প্রার্থী যাদের পেয়েছেন তাদের নিয়োগ দিয়েছেন।
যাহোক তোমরা এরূপ কোনো প্রতিষ্ঠানের পেছনে সময় ও অর্থ ব্যয় করবে না।

এবার আসি টার্গেট দিয়ে কাজ দেওয়া জবের ফাঁদ পাতা প্রতিষ্ঠান এর বিষয়ে কথা বলতে। এরা হিসেব নিকেশ করে এমন একটা টার্গেট নির্ধারণ করে যেটা অর্জন করার কাছাকাছি যাওয়া যায় কিন্তু অল্পের জন্য অর্জন করা যায় না। এর মাধ্যমে দেখা যায় টার্গেট পূরণ না হলে তারা কোনো পার্সেনটেজ দেয় না। আর এর মাধ্যমে যে পরিমাণ বিক্রি তুমি করে দিতে পারলে সেটা তাদের লাভ। একবার এক কম্পিউটার বিক্রির প্রতিষ্ঠানের পার্টটাইম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে তাদের প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউ দিতে গেলাম। তারা টার্গেট দিলো নিজেদের ফ্রেন্ড সার্কেল ও রিলেটিভদের মাঝে মার্কেটিং করে তাদের প্রতিষ্ঠান হতে মাসে ১৫ টি কম্পিউটার এক্সেসরিজ বিক্রি করতে হবে। সেজন্য আমার একটি নিবন্ধন নাম্বার থাকবে। আর যেসব কম্পিউটার এক্সেসরিজ বিক্রি করা হবে তার মধ্যে ৫ টি একদম কমদামী ও ৫ টি মোটামুটি দামী হওয়া যাবে এবং কমপক্ষে ৫ টি অবশ্যই বেশিদামী হতে হবে যথা সিপিইউ, মনিটর, ল্যাপটপ এই জাতীয়। বুঝতেই পারছো কত বড় টার্গেট। যাহোক তারা চাকরিপ্রার্থীদের এমনভাবে মোটিভেট করে যে এই টার্গেট পূরণ করা কোনো ব্যাপারই নয়, কজে হাত দিলেই হয়ে যাবে। আর ইন্টারভিউ গ্রহণকারীরা এমনভাবে মোটিভেশন দেয় মনেহয় এখনই এই কাজে লেগে যাই। আমাকে ইন্টারভিউ গ্রহণকরী বলেছিল, "আমি যখন ছাত্র ছিলাম তখন টাকার জন্য ইভেন্টের কাজ করতাম, সামিয়ানা টাঙাতাম, মঞ্চ বানাতাম ইত্যাদি ইত্যাদি; আর এটা তো তার চেয়ে অনেক স্টান্ডার্ড কাজ"। কিন্তু চিন্তা করে দেখো মঞ্চ বানানো একটি প্যাকেজ কাজ, কষ্টের কাজ হলেও সেটা করা যায় কিন্তু অন্যকে রাজি করে এভাবে প্রোডাক্ট বিক্রির টার্গেট পূরণ করা ওতো সহজ নয়। এটা পুরাই একটা ব্যবসায়ী ফাঁদ।

এবার কিছু বলতে হয় টার্গেট পূরণের ইভেন্ট জব বিষয়ে। তার আগে একটা কথা বলে নেই। বাংলাদেশে যত বড় বড় নামীদামী প্রতিষ্ঠান আছে তাদের অধিকাংশেরই ভেতরে কিছু নোংরা গল্প লুকিয়ে থাকে। এমনকি এফএম মেথড এর মতো প্রতিষ্ঠানও যে ফাঁও কাজ করে নেওয়ার জন্য টোপ ফেলে তা আমি কল্পনাও করতে পরিনি। যাহোক বছরখানেক আগে তাদের একটি ইভেন্ট প্যাকেজের কাজের বিজ্ঞাপন দেখে ইন্টারভিউ দিলাম ও কাজ করতে আগ্রহী হলাম। কাজটা ছিল- তাদের স্টুডেন্ট কালেকশনের জন্য একটি ফ্রি সেমিনার হবে। সেজন্য বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মেসে গিয়ে প্রচারণা চালিয়ে সেই সেমিনারে ছাত্রছাত্রীদের ইনভাইট করে সেমিনারে আনতে হবে। যতজন আসবে তার উপরে একটা ইনসেন্টিভ পাওয়া যাবে তবে শুধু টার্গেট পূরণ হলেই সেই ইনসেন্টিভ পাওয়া যাবে। ৩০ জনের নিচে এলে কোনো ইনসেনটিভ পাওয়া যাবে না, শুধু দিনপ্রতি কাজের জন্য ১০০ টাকা পাওয়া যাবে। আর সেই ১০০ টাকার ৫০ টাকা আবার আগ্রীম দেয় বাকি ৫০ টাকা সেমিনারের দিনে। আর আমি যে কয়জনকে সেমিনারে আনতে পারবো তাদের মধ্যে থেকে ২০ জন ভর্তি হলে আমি ২৪০০ টাকা পাবো; এর কম ভর্তি হলে কিছু পাবো না। আর কে কে আমার মাধ্যমে এসেছিল ও ভর্তি হয়েছে তা বোঝার জন্য লগশিট মেইনটেইন করতে হবে। অর্থাৎ আমাকে একটি ছক টানা কাগজ দেওয়া হবে। সেই কাগজে আমি কার কার সাথে কথা বলেছি তার নাম, মেসের নাম এবং ফোন নাম্বার লেখা থাকবে। যাহোক আমি প্রথমদিন কাজ করে লগশিট জমা দিলাম। বিকেলে বের হয়ে ২৪ জনের সাথে কথা বলে তাদের তথ্য লিখেছিলাম। এতে শাখা পরিচালক হয়তো আমার কাজ করার এনার্জি দেখে বুঝতে পেরেছিলেন যে আমি টার্গেট পূরণ করেই ছাড়বো। তাই সে আমাকে বললো আজকে আমাদের সাথে মার্কেটিং করেন। এর মানে হলো কলেজ ও ভার্সিটির সামনে তাদের একটি লোক থাকবে এবং একটি টেবিল, লিফলেট ও বড় ছাতা থাকবে। এতে ওদের সুবিধা হলো সেখানে তো আর কারও সাথে বেশি কথা বলার মতো পরিবেশ থাকে না; সর্বোচ্চ বলা যার যে অমুক দিনে অমুক জায়গায় আমাদের ক্যাম্পাসে ফ্রি সেমিনার আছে, আসিয়েন। লগশিট লেখার মতো পরিবেশ সেখানে থাকে না। ফলে মার্কেটিং করলেও লগশিট না লিখতে পারলে সেটা কিন্তু আমার সফলতা হিসেবে কাউন্ট করা হবে না। যাহোক সেদিন ভার্সিটিতে আমার অন্য একটা কাজ থাকায় আমি ইচ্ছা না থাকাতেও নিজের ভার্সিটির গেটে দাঁড়িয়ে মার্কেটিং এর কাজ করলাম এবং তার পরের দুইদিন একবেলা করে মেসে মেসে ক্যাম্পইন করলাম। হয়তো আমার টার্গেট পূরণ হতো। কিন্তু বিধির কী খেলা! সেমিনারের দিনে নিম্নচাপ, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও ঝড়বৃষ্টি শুরু হলো ও আবহাওয়া অত্যাধিক ঠাণ্ডা হয়ে গেলো। এমন দিনে কেউ সেমিনারে যাবে এটা কল্পনাতীত। যাহোক আমি সেজন্য সেমিনারে যাইনি। আর সেমিনার ছিল দুইদিন। যেহেতু প্রথম দিনের এই দুর্দশা তাই পরেরদিন আবহাওয়া ভালো থাকলেও আমি যাইনি। ফলে আমার টার্গেটের কি অবস্থা হয়েছে সেই খবর আর মনের দুঃখে নেই নি। আর তারা এই কাজের জন্য আমি যে আরও হিসেবের ২০০ টাকা পাই সেই টাকার একটি টাকাও দেয় নি, খোঁজও নেয়নি। শুধু মার্কেটিং এর দিনগুলোতে চারদিন ৫০ টাকা করে দিয়েছিল রিক্সা ভাড়া ও নাস্তার জন্য।
এরপর একমাস পরে আবার আমাকে ফোন দিয়েছে আবার নাকি তাদের ফ্রি সেমিনারের ও ভর্তির প্রচার ক্যাম্পইন আছে তাতে কাজ করার জন্য। বুঝো অবস্থা! কতটা নির্লজ্জ হলে কেউ এমন করতে পারে?
আমি আর যাইনি। যাবো কেনো? তাদের ভণ্ডামি তো দেখলামই। তোমরাও এরূপ কোনো টার্গেট এর কাজে যাবে না। যদি ডাইরেক্ট পারসেন্টেজ এর কাজ হয় কোনো টার্গেট না থাকে এবং নগদ টাকার কাজ হয় সেসব প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পেইনের কাজে যাবে।

আর হ্যা, এসব তো গেলো ছোটোখাটো প্রতারক প্রতিষ্ঠান এর বিষয়ে যারা ফাঁও কাজ করে নেয়। কিছু কিছু বড় মাপের প্রতারক প্রতিষ্ঠান আছে যারা চাকরি দেওয়ার নাম করে ও ট্রেনিং ফি/ জামানত এটা সেটার কথা বলে প্রতিজন লোক হতে কয়েক হাজার করে টাকা হাতিয়ে নেয়। সেসব প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে পারবে লাইফ একাডেমির 'স্কুল অব অ্যাওয়ারনেস' প্রজেক্টের ফ্লপ ইনভেস্টমেন্ট বিভাগে ও 'চাকরি বাজারের সতর্কতা' ফিচার থেকে।

© লেখা: মেহেদী হাসান
বই— 'স্বপ্ন, ভালোবাসা ও বাস্তবতা' (লেখা চলছে)।

Home  |  Facebook  |  YouTube

No comments:

Post a Comment